একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৫৫৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ জন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৬০টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫২ লাখ ২১ হাজার ২৭৫টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছয় হাজার ৮১১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ২৮ হাজার ১১১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
৯১ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব সাতজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৮ জন এবং ষাটোর্ধ ৫৪ জন রয়েছেন। ঢাকা বিভাগে ৬০ জন, চট্টগ্রামে ১৭ জন, রাজশাহীতে তিনজন, খুলনায় পাঁচজন, বরিশালে চারজন ও রংপুর বিভাগের দুইজন রয়েছেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১০ হাজার ৫৮৮ জনের মধ্যে সাত হাজার ৮২৭ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৭৬১ জন নারী।
গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল দেশে করোনায় ১০১ জন করে মারা যান। ১৮ এপ্রিল করোনায় মারা যান ১০২ জন। গতকাল সোমবার করোনায় একদিনে রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। যা একদিনে সর্বোচ্চ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ২৮ লাখ ১৩ হাজার ৩৫৩ জন। এ মহামারিতে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ২২৯ জনের। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সৃষ্ট মহামারি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ জন।