কিন্তু সতীর্থ সিনিয়রের ভুল থেকে মাঠেই শিক্ষা নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ঠিকই তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে গেলেন।
২৩৬ বলে শতক পূরণ করলেন শান্ত। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির মুখ দেখলেন এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
ওয়ানডে মেজাজে খেলা তামিমের ৯০ রানের পর শান্তর শতকে ভর করে ২ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬১ রান। অন্যপ্রান্তে শান্তকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন অধিনায়ক মোমিনুল হক। শান্তর সেঞ্চুরি পর হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছুলেন মোমিনুল।
বয়সভিত্তিক আর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা ক্রিকেটার শান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বরাবরই ব্যর্থ ছিলেন।
ওয়ানডে বা টেস্টের কোনোটিতেই ব্যাট হাসছিল না তার । সাকিবের অনুপস্থিতির কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে পারছিলেন না।
বারবার কম রানে সাজঘরে ফেরায় সমালোচনা সইতে হচ্ছিল তাকে। সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে দুই ইনিংসে করেছিলেন মাত্র ১৮ আর ১২ রান। এমন পারফরম্যান্সে জাতীয় দলেই তার থাকাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
ক্যারিয়ারের এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলংকায় পাল্লেকেলেতে দূর্দান্ত এক ইনিংস খেললেন শান্ত। সমালোচকদের জবাব দিলে ব্যাট হাতেই।
বলতে গেলে অনেক সাধনার পর সেঞ্চুরির মুখ দেখলেন শান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে তার ইনিংসগু্লো ছিল-২৫, ০, ৪ আর ১১ রানের। ৬ টেস্ট শেষে গড় মাত্র ২১.৯০। এমন গড়ও হতো না যদি দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তার ৭১ রানের ইনিংসটি না থাকত ।
যা ছিল এতোদিন পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ। আজ নিজের রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেলেন শান্ত। ২৩৫ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় সেঞ্চুরি হাঁকালেন।