বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংক্রমণের হার সাত-আট শতাংশে নেমে গিয়েছিল। দৈনিক ৩০০-৩৫০ শনাক্ত হতো। হঠাৎ করে সেটা সাত হাজারে উঠে গেলো কীভাবে? ১০০’র বেশি মৃত্যু হলো কী করে। এগুলো দেখার বিষয় আছে। করোনার এই ঢেউ আসলো কীভাবে, কারা এই ঢেউ আনলো? আমরা যদি এটা চিহ্নিত না করি তাহলে আবার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আবার তৃতীয় ঢেউ দ্বারা আমরা আক্রান্ত হতে পারি। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে তৃতীয় ঢেউ না আসে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই যে আমরা বেসামাল ঘোরাঘুরি করলাম, বিভিন্ন জায়গায় গেলাম, মাস্ক পরলাম না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলাম না, যার ফলে আমাদের এই দ্বিতীয় ঢেউ আসলো। একই কাজ যদি আমরা আবার করি তাহলে তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে। আমরা কতো চিকিৎসা দেবো, কতো বেড বাড়াবো, কতো হাই ফ্লো ন্যাজেল ক্যানোলা দেবো, কতো অক্সিজেনের ব্যবস্থা করবো? হাসপাতালের বেড তো রাতারাতি বাড়ানো যায় না। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।‘
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ মিয়া, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক খলিলুর রহমান প্রমুখ।