শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত অসহায়, কর্মহীন মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। নিচের সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগকে জনমানুষের দল অভিহিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি মানুষের পাশে থেকে আস্থা অর্জন করা একমাত্র রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। চলমান করোনা সংকটেও সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সারাদেশের অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতাকর্মীরা শুধু সুরক্ষা সামগ্রী নয়, নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা নিয়েও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সবাইকে উপার্জনহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউনের কারণে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, সেই সব অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষ ও ভাসমান মানুষদের সহায়তা করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেবল দলের নেতাকর্মী নয়, সমাজের সামর্থ্যবান সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। করোনাকে পরাজিত না করা পর্যন্ত দুঃস্থ, অসহায়দের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ চলমান রাখতে হবে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন দুইটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে— করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, অন্যটি খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সারাদেশে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ সেবা দিতে হবে। এই মূহূর্তে আপনারা দলের কর্মী নয়, দেশের কর্মী হিসেবে কাজ করবেন।
সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করতে সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন— সরকার নাকি দেশকে নরকপুরিতে পরিণত করেছে। প্রকৃতপক্ষে সরকার নয়, জনগণ মনে করে— বিএনপির উসকানিতে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী গত ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানকে নরকপুরি বানিয়েছিল। সরকার নয়, আন্দোলনের নামে প্রকাশ্যে ও গোপনে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসই বর্বরতার নামান্তর।
জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে বিএনপি এখনো বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা ২০০১ সালে নির্বাচনের পর যেভাবে বর্বরতা চালিয়েছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর, সেভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপরও নির্যাতন চালিয়েছিল। এখনও তাই করছে। কিন্তু জনগণের সহায়তায় সরকার সাম্প্রদায়িক দানবীয় অপশক্তিকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অন্ধকারের অপশক্তির কালো দাঁত ভেঙে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে সম্ভাবনার সোনালী দিগন্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।