শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামে বোরো ধান কাটা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গত বোরো মৌসুমে ধানের ভালো উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু আউশ-আমন মৌসুমে দফায় দফায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে উৎপাদন অনেক কম হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এ বছর ধান-চালের উৎপাদন বাড়াতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। মহামারি করোনাকালে খাদ্য নিয়ে মানুষকে যাতে আতঙ্কে থাকতে না হয়, খাদ্যের যাতে কোনো অভাব না হয় সেটি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দৃঢ়ভাবে কাজ করছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, হবিগঞ্জ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে হাওরের ধান কাটার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী। পরে তিনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট হবিগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় পরির্দশন করেন এবং তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ধানের ফলন পর্যবেক্ষণ করেন।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলায় চলতি বছর এক লাখ ২২ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।