বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও খাদ্য গ্রহণে প্রভাব’ শীর্ষক জরিপের ফল অনলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমরা টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে খাদ্যসামগ্রী বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। রমজান মাসে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির জন্য ৩৫ হাজার টন সয়াবিন তেল বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে এ মুহূর্তে মানুষের কাজ না থাকাটা আসলেই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং। সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো নাজনীন আহমেদ।
জরিপের ফল উপস্থাপনকালে নাজনীন আহমেদ বলেন, ঢাকাসহ দেশের সাত জেলার ৭০ জনের ওপর দৈবচয়নের ভিত্তিতে জরিপটি করা হয়েছে। যাঁদের বয়স ৩৫ বছরের ওপরে। যাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে তাঁরা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার নিম্ন আয়ের মানুষ। যাঁর মধ্যে রয়েছে রিকশাচালক, পথশিশু, হোটেল কর্মচারী। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জরিপের কাজটি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষত দিনমজুর, রিকশাচালক, রাস্তার ধারের হকাররা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, যা দরিদ্র মানুষের জন্য বাড়তি ও অসহনীয় চাপ তৈরি করেছে।