বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিআরপিডি ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদ হারের ঊর্ধ্বসীমা ১০ শতাংশ হতে হ্রাস করে ৯ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে, বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৩/২০২০ এর মাধ্যমে ১ এপ্রিল ২০২০ হতে কার্যকর করে ক্রেডিট কার্ড ব্যতীত অন্যান্য সকল খাতে অশ্রেণিকৃত ঋণ/বিনিয়োগের ওপর সুদ/মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।’
এতে বলা হয়, ‘কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কৃষি উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ২০২০ সাল হতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য খাতের ন্যায় কৃষি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদেরকে স্বাভাবিক উৎপাদনশীল কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে উক্ত খাতে ঋণ/বিনিয়োগের সুদ/মুনাফা হার হ্রাস করা প্রয়োজন।’
এমতাবস্থায়, ‘জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান বিবেচনায় কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদেরকে স্বাভাবিক উৎপাদনশীল কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লী ঋণ/বিনিয়োগের সুদ/মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ এ পুনঃনির্ধারণ করা হলো।’
‘এ নির্দেশনা চলতি মাসের ১ তারিখ হতে কার্যকর বলে গণ্য হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।