বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন আগামী দুই-একদিনের মধ্যে জারি হতে পারে।
সম্প্রতি সরকার দেশ-বিদেশে আটকেপড়া প্রবাসীদের কর্মীদের বিভিন্ন দেশে ফিরে যেতে এবং প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছে। যারা ফিরছেন তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার শর্ত বেঁধে দেয়া হয়েছিল।
গত কয়েকদিনে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার ও ওমান থেকে দুই হাজারেরও বেশি যাত্রী ফেরত আসেন। তাদেরকে রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্প ও উত্তরা দিয়াবাড়ির কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। নেগেটিভ সনদ নিয়ে ফিরে আসা যাত্রীরা তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ফলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, ‘রমজানের ঈদকে সামনে রেখে অসংখ্য প্রবাসী দেশে ফিরতে চাইছেন। তাদের অনেকে আগাম টিকিটও কেটে ফেলেছেন। বিশেষ করে প্রবাসী কর্মী যারা কোম্পানি থেকে কয়েকবছর পর পর ফ্রি টিকিট পান তারা নির্ধারিত টিকিটে দেশে ফিরতে না পারলে তাদের টিকিট বাতিল হয়ে যায়। এ কারণে গত কয়েকদিনে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।’
আরও জানা যায়, যাদের করোনার দুটি ভ্যাকসিন নেয়া আছে এবং করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট আছে, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন লাগবে না। তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। আর যাদের করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নেয়া আছে এবং করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট রয়েছে তাদের তিন দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন পাঠানো হবে। এরপর করোনা টেস্ট করানো হবে। তাতে নেগেটিভ রিপোর্ট এলে বাকি ১১ দিন বাড়িতে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিদেশফেরত যাত্রীদের দাবির মুখে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ সাতদিন করা হয়েছিল।