পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ অ্যানা কিপেন বলেন, এটা ঠিক অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব নয়। চিনি আমাদের শরীরের নানান ভাবে ক্ষতিকর প্রভাব রাখে। এর মধ্যে একটি হল আরও চিনি বা মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও তৈরি করে। এর কারণ হল অতিরিক্ত পরিশোধিত চিনি গ্রহণ করার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আবার যখন রক্তে শর্করার মাত্রা কমে আসে তখন ক্লান্তি এসে ভর করে। ফলশ্রুতিতে আবারও মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে জাগে।
তিনি আরও বলেন, ফলে যে চিনি বা শর্করা থাকে তা পরিশোধিত চিনি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ধরা যাক মিষ্টি স্বাদের আপেলে শর্করা থাকে সঙ্গে আরও থাকে উচ্চ মাত্রায় আঁশ ও পুষ্টিগুণ। যা দিতে পারে পেট ভরা অনুভূতি। তাই বিস্কুটের মতো রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয় না।
তাই ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকলে বাদ দিতে হবে পরিশোধিত চিনি, প্রাকৃতিক চিনি নয়।
তারপরও ওজন কমাতে চিনি খাওয়া যেতে পারে। আর তা হতে হবে প্রতিদিন ২০ গ্রাম বা তারও কম। তবে স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এই পরিমাণ চিনি গ্রহণে সতর্ক হতে হবে। কারণ চিনি থেকে নানান রকম রোগ, যেমন- হৃদসংক্রান্ত সমস্যা, স্থূলতা বা যকৃতে চর্বি জমার মতো সমস্যা হতে পারে।
ওজন কমাতে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে
অ্যানা বলেন, ২০ গ্রাম পরিমাণ চিনি খুবই কম। তারপরও চিনি খাওয়ার পরিমাণ আরও কমাতে চাইলে রয়েছে নানান পন্থা।
যদি চিনি খাওয়ার ইচ্ছে কমাতে চান তবে যখন সবচেয়ে বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করবে তখন এক টুকরো ডার্ক চকলেট খাওয়া উপকারী। এই ডার্ক চকলেট হতে হবে অন্তত ৭২ শতাংশ বা তার বেশি কোকোয়া সমৃদ্ধ। আর এক টুকরা খেলে ওজন কমানোর লক্ষ্যও ভ্রষ্ট হবে না।
‘ফ্লেইভার্ড ইয়োগার্টস’য়ে সবসময়ই অতিরিক্ত প্রাকৃতিক চিনি থাকে। তাই খেতে হবে সাধারণ টক দই সঙ্গে থাকবে আধা কাপ বেরি। যা মেটাবে চিনির চাহিদা।
নাস্তা হিসেবে বাদামে মেশানো কিশমিশ হতে পারে মুখরোচক খাবার। যা চিনি খাওয়ার বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। সঙ্গে দেবে অনেকক্ষণ পেট ভরা অনুভূতি।
এরপরও সাধারণ চিনি উপভোগ করতে পারেন তবে খুবই অল্প পরিমাণে। সুস্থ থাকতে এবং ওজন কমাতে যা খুবই জরুরি। চিনি বা মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কমানো সহজ নয়। তবে এভাবে শুরু করলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে।