শনিবার (২৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১ম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক কমিটি। গুচ্ছ পদ্ধতিতে সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ জুলাই। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২ মে থেকে চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলো: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
আবেদনের যোগ্যতা
২০১৭/২০১৮ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০১৯/২০২০ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ হতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবলমাত্র তারাই আবেদন করতে পারবে।
আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে। O এবং A লেভেল পাস হওয়া প্রার্থীর ক্ষেত্রে লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে এবং A লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষার প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে।
মোট আসন সংখ্যার ১০ গুণ প্রার্থীকে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমূহে প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় অংগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হবে।
আবেদন ফি
১ হাজার টাকা দিয়ে নগদ, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। যে সব প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংগ্রহণের সুযোগ পাবে না তাদের আবেদন সংক্রান্ত প্রসেসিং ফি বাবদ ৩০০ টাকা কেটে রেখে অবশিষ্ট ৭০০ টাকা তাদের প্রদত্ত হিসাব নম্বরে ফেরত দেওয়া হবে ।
লিখিত নির্বাচনী পরীক্ষা
MCQ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩১ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এইচএসসি/সমমান পর্যায়ের ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০. রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
মেধা স্কোর
মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/সমমানের জন্য ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা তালিকা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।