এর আগে, ১৫ মার্চ পণ্য বিপণন পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১ অনুযায়ী গঠিত জাতীয় কমিটি চার টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকা দাম নির্ধারণ করে। যা আগে ছিল ১৩৫ টাকা।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দাম হবে ১২২ টাকা, যা আগে ছিল ১১৭ টাকা। এছাড়াও পাঁচ লিটারের বোতল ৬৮৫ টাকা এবং পাম সুপার তেল ১১৩ টাকায় বিক্রি হবে। পাম সুপার তেলের দাম বাড়বে লিটারে ৪ টাকা। তবে ২৪ এপ্রিল থেকে দাম বাড়ানোর কথা থাকলেও এখনো বাজারে আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল ভোজ্যতেল উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে ৫ টাকা বাড়িয়ে তেলের নতুন দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানায়।
চিঠিতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণের জন্য সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়। বিশ্ববাজারের দাম অনুযায়ী তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫২ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও রমজান ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিপণনকারীরা লিটারে ছাড় দিয়ে ১৪৪ টাকা নতুন মূল্য প্রস্তাব করছে। এই দর ২৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর করার কথাও চিঠিতে জানানো হয়।
শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানি সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। মূলত তেলের দাম বাড়িয়ে ১৫২ টাকা করার কথা ছিল, কিন্তু রোজা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ছাড় দিয়ে ১৪৪ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছি। শিগগিরই এই বাড়তি দাম কার্যকর হয়ে যাবে।’