পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বিমানবন্দর থেকে ফেঙ্গি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। এরপর সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। সেখান থেকে বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সম্প্রতি ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানের ঢাকা সফরের পর চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই ঝটিকা সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কেননা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে ভারত থেকে টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশ। চীনও বাংলাদেশকে টিকা দিতে প্রস্তুত।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, বাংলাদেশ সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে চীন টিকা পাঠিয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে শুরুতে ৫ থেকে ৬ লাখের মতো টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেবে চীন।
চলমান পরিস্থিতির কারণে টিকা ইস্যু ছাড়াও বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর জন্য সমরাস্ত্রের বড় উৎস চীন। প্রতিরক্ষা খাতে বেইজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীনের উদ্যোগের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) থেকে বাংলাদেশ যেন বিমুখ না হয় সেদিকেও নজর থাকবে ওয়েই ফেঙ্গির।
গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে এক দিনের সফরে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় সফর বাতিল করেন ওয়েই ফেঙ্গি।