টিএইচওয়াই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর দ্য সেফটি অব এয়ার নেভিগেশন’ (ইউরোকন্ট্রোল)-এর তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ২২ এপ্রিল পর্যন্ত টার্কিশ এয়ারলাইন্স দ্বিতীয় স্থানে থাকা এয়ারলাইন্সের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এ সময় তাদের ফ্লাইট ছিল ৭১১টি।
‘অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড’ (ওএজি)-এর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সক্ষমতার দিক থেকে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০ এয়ারলাইন্সের মধ্যে এবং ইউরোপে সেরা অবস্থানে রয়েছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স।
টার্কিশ এয়ারলাইন্সের সিইও ইলকার আয়সি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ২০২০ সালের মতো ২০২১ সালেও আমরা বিমান সংস্থা হিসেবে মহামারির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সেরা ব্যবস্থাপনা দেখাতে পারব।’
মার্চে আয়সি যে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন, তাতে দেখা যায়, গত বছর কোভিড-১৯ মহামারির সময় ফ্লাইট পরিচালনার দিক থেকে টিএইচওয়াই ইউরোপের শীর্ষ নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ার ছিল।
সংস্থাটি ২০২০ সালে ২৮ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে, ২০১৯ সালে যে সংখ্যা ছিল ৭৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন।
২০২০ সালে সংস্থাটি ৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন লিরা (৬৭০ মিলিয়ন ডলার) লোকসান গুনেছে। অথচ, ২০১৯ সালে লাভ হয়েছিল ৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন লিরা। মহামারির বিস্তার রোধে বিশ্বব্যাপী যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হয় সংস্থাটিকে।
কার্গোর ক্ষেত্রে, এয়ারলাইন্সটির ‘টার্কিশ কার্গো’ বিভাগও শীর্ষস্থান দখল করেছে। মহামারির কারণে দেশগুলো যখন মালামাল পরিবহনের দরজা বন্ধ করে দেয়, তখন জরুরি মিশন কাঁধে নিয়ে ২০২০ সালে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ মার্কেট শেয়ার বাড়িয়েছে বিভাগটি।
গত বছর বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে এ কার্গো ক্যারিয়ার অষ্টম স্থান থেকে ষষ্ঠ স্থানে উঠে আসে। ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকেও ৪ দশমিক ৮ শতাংশ মার্কেট শেয়ার বাড়িয়েছে ক্যারিয়ারটি।