জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি বিএসইসি শীর্ষ ব্রোকার ও মার্চেন্টব্যাংকের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় তারা এর মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর অনুরোধ করে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারহাউজগুলোর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিএসইসি সময় সীমা ৬ মাস বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিএসইসি থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসি’র কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেন, মার্জিন ঋণের নতুন সুদ হারের নির্দেশনা আগামী বছর থেকে কার্যকর করা হবে। এটি বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রস্তাবের আলোকে করা হয়েছে। যা চিঠির মাধ্যমে মার্জিন ঋণ প্রদানকারীদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৫৭ তম সভায় মার্জিন ঋণের সুদ হবে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়। স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংক প্রদত্ত মার্জিন ঋণ প্রদানের বিপরীতে গ্রাহকের নিকট থেকে কস্ট অব ফান্ডের সহিত অতিরিক্ত সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ স্প্রেড আদায় করিতে পারবে। কিন্তু কোনক্রমেই মার্জিনের সুদ হার ১২ শতাংশের বেশি হবে না।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে যে ঋণ নিয়ে থাকেন, সেটি মার্জিন ঋণ হিসেবে পরিচিত। ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সাধারণত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধারে এনে তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্জিন ঋণ হিসেবে বিতরণ করে থাকে।