মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানান সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
বিবৃতিতে তারা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও কৃষি বিপণন কেন্দ্রের হিসেবে এ বছর বোরো ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে কেজি প্রতি ২৬ টাকার বেশি। সরকার দাম নির্ধারণ করেছে এবার ২৭ টাকা কেজি। আমরা দীর্ঘ দিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছি, ফসলের লাভজনক দাম অর্থাৎ উৎপাদন খরচের সাথে ৪০ শতাংশ বাড়তি যোগ করে ধানের দাম নির্ধারণের জন্য। কিন্তু অতীতে এবং এবারেও তা উপেক্ষিত হয়েছে।
তারা আরও বলেন, চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ কোটি টনের বেশি, সে ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশ ধান ক্রয় করলেও তার পরিমাণ হওয়া উচিত ১ কোটি টন। কিন্তু সামগ্রিক বিবেচনায় আমরা দাবি করেছি প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে উৎপাদক কৃষকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টন ধান ক্রয় করার। এবার সরকার মাত্র সাড়ে ৬ লাখ টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে সরকার সিদ্ধ ও আতপ মিলে সাড়ে ১১ লাখ টন চাল সংগ্রহের কথা ঘোষণা করেছে। সিদ্ধ চালের দাম ধরা হয়েছে ৪০ টাকা কেজি এবং আতপ চালের দাম ৩৯ টাকা কেজি। দেশবাসী সকলেই জানে কৃষক ধান উৎপাদন করে, চাল নয়। চাল সরবরাহ করে চাতাল ও মিল মালিকেরা।
সরকার মিল মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করছে জানিয়ে বলা হয়, ধানের দাম গতবারের চেয়ে কেজিতে মাত্র ১ টাকা বেশি এবং চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বাস্তবে চাতাল ও মিল মালিকদের স্বার্থই সরকার রক্ষা করেছে। ধান ক্রয়ের কথা বললে সরকার বলে তাদের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গোডাউন বা সাইলো নাই। অথচ ২ বছর আগে সরকার ৫ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ২০০টি পেডি সাইলো নির্মাণের ঘোষণা দিলেও এখনও তা নির্মাণ করা হয়নি। আমরা দাবি করছি দ্রুত পর্যাপ্ত পরিমাণে গোডাউন-সাইলো নির্মাণ করে ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে। যতক্ষণ তা সম্পন্ন না হয়, ততক্ষণ বেসরকারি গোডাউন ভাড়া করে এবং প্রয়োজনে কৃষকের বাড়িতেই ধান কিনে রাখার দাবি জানাচ্ছি।