সরকারি নির্দেশে গত ২২ এপ্রিল থেকে কক্সবাজার বাদে অন্য সব অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু হয়। সে থেকে বরিশালেও আগের সিডিউল অনুযায়ী বিমান প্রতিদিন সকালে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল। ফলে ধীরে ধীরে যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছিল। এমনকি যশোরের চেয়ে বরিশালে তুলনামূলকভাবে বেশি যাত্রী বিমানে ভ্রমণ করছিলেন।
কিন্তু এক সপ্তাহের মাথায়ই দৈনিক ফ্লাইট সপ্তাহে ৩ দিনে সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন সিদ্ধন্ত অনুযায়ী রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকালে ও বিকেলে দু’টি করে ফ্লাইট পরিচালনার সিডিউল ঘোষণা করে বিমান কর্তৃপক্ষ। ফলে যাত্রীদের মাঝে হাতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। গতকাল বরিশাল বিমান অফিসে অনেক যাত্রী টিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে জানতে পারেন ফ্লাইট সিডিউল আবারো পরিবর্তন করে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার তিন দিন শুধুমাত্র সকালে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। গত ২৬ মার্চ বরিশালে বিমানের ফ্লাইট চালু হবার পরে গতকাল পর্যন্ত যে ১৭ দিন যাত্রী পরিবহন করেছে, তাতে পাঁচবার ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বিমানের বরিশাল সেলস অফিসের সামনে কয়েক যাত্রীর সাথে আলাপ হলে তারা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য, বিমান গত ২৬ বছরে কোন দিনই বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনায় আন্তরিক ছিলো না, এখনো নেই। বার বারই নানাভাবে যাত্রী-উড়জাহাজের সঙ্কটের কথা বিমান বন্ধ করা হয়েছে।
এবার ঘন ঘন সিডিউল পরিবর্তন করে যাত্রীদের অনাস্থা তৈরি করে ফ্লাইট বন্ধের পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। তাদের দাবি বিমান ২৬ মার্চ থেকে প্রতিদিন সকালে এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছিল তা বহাল রাখা হোক।
তবে গতকাল দুপুরে সময়সূচি আবার পরিবর্তন করে আগামী ৬ মে পর্যন্ত আগের সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা থেকে এবং সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বরিশাল থেকে চলাচলের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এসব ব্যাপারে বরিশাল বিমান অফিসের জেলা ব্যবস্থাপক কোন মন্তব্য করতে রাজী না হলেও সার্বিক পরিস্থিতিসহ যাত্রীদের মনোভাব সদর দফতরকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে গত কয়েক দিনে বিমান সদর দফতরে পরিচালক বিক্রয় ও বিপণন এবং ডিজিএম রিজার্ভেশনের সাথে আলাপ করা হলে তারা সকলেই যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করেই বরিশালে ফ্লাইট পরিচালনার কথা জানান। সূত্র: ইনকিলাব