বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনো আলেম ওলামাদের তো নই, এমনকি বিএনপির কোনো নেতাদেরও গ্রেফতার করে নাই সরকার। যারা আগুন-সন্ত্রাসের সাথে জড়িত তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও দেখে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধীদের গ্রেফতার করছে। এখানে কল্পকাহিনী তৈরির কোনো সুযোগ নেই।’
কাদের বলেন, ‘ঢাকা, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে তা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, সন্ত্রাস আড়াল করে সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে বিএনপিই বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে মনগড়া কল্পকাহিনী তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।’
১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর, তথাকথিত ৭ নভেম্বর এবং ২১ আগস্ট ঘটিয়ে চক্রান্তের পথে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
মন্ত্রী বিআরটিসির বহরের গাড়িগুলোকে যথাযথ মেরামত কাজ করতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বিআরটিএ’কে দালালের চক্র থেকে রক্ষা করতে ওবায়দুল কাদের আবারও কঠোর হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘তা না হলে বিআরটিএ জনগণের যথাযথ সেবা দিতে পারবে না।’