শনিবার (১ মে) ইউরোপিয়ান কমিশনের অ্যান্টি ট্রাস্ট রেগুলেটর মারগ্রেথ ভেস্টেগার এক টুইটে বলেছেন, ‘অ্যাপলের জন্য ভোক্তারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’ বছর দুই আগে মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ স্পটিফাই এই অভিযোগ এনেছিল। এটি সেই অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। স্পটিফাইয়ের অভিযোগ ছিল অ্যাপল এই শিল্পে নতুনত্বকে আটকাচ্ছে। এর ফলে অ্যাপল একটি বড় জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে। নিজেদের পক্ষে ভালো যুক্তি দেখাতে না পারলে অ্যাপল তার নীতির পরিবর্তন করতে বাধ্যও হতে পারে।
অ্যাপ স্টোরের নীতিমালা কীভাবে মিউজিক স্ট্রিমিংয়ে প্রভাব ফেলছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে খতিয়ে দেখা হবে মামলাটিতে। প্রাথমিকভাবে ২০১৯ সালে মামলাটি দায়ের করেছিলেন স্পটিফাইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল এক। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘অ্যাপল বেছে নেওয়ার সুযোগ সীমিত করছে এবং উদ্ভাবনের কণ্ঠরোধ করছে।’
ইউরোপিয়ান কমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিযোগী সংগীত স্ট্রিমিং অ্যাপ নিয়ে আসা কোম্পানিগুলোর ব্যয় বাড়িয়ে বাজারে প্রতিযোগিতা নীতি বিকৃত করেছে অ্যাপল। এর ফলে আইওএস ডিভাইসের ভোক্তাদের ইন-অ্যাপ মিউজিক সাবস্ক্রিপশনের খরচ বাড়ছে।
প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপল জানিয়েছে, ৯৯ শতাংশ স্পটিফাই সাবস্ক্রাইবারের বেলায় তারা কোনো কমিশন পায়নি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এই মামলার মূল হলো স্পটিফাইয়ের দাবি করছে, তারা তাদের আইওএস অ্যাপ্লিকেশনে বিকল্প ব্যবসায়ের বিজ্ঞাপন দিতে চায়। এমন অনুশীলন যা বিশ্বের কোনো স্টোরই অনুমতি দেয় না।