সোমবার (৩ মে) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইনটির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
‘প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজে অন্যূন ৫০ জন শিক্ষার্থীর আসন থাকতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজের নামে অন্যূন দুই একর এবং ডেন্টাল কলেজের নামে অন্যূন এক একর এবং অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে যথাক্রমে চার একর ও দুই একর জমি থাকতে হবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মেডিক্যাল কলেজ কার্যক্রমের জন্য অন্তত এক লাখ বর্গফুট ও হাসপাতাল পরিচালনার জন্য এক লাখ বর্গফুট ফ্লোর স্পেসসহ অবকাঠামো থাকতে হবে। আর ডেন্টাল কলেজের জন্য ৫০ হাজার বর্গফুট এবং হাসপাতালের জন্য অন্তত ৫০ হাজার বর্গফুট স্পেসসহ অবকাঠামো থাকতে হবে।
এ ছাড়া কলেজের কোনো বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদিত পদের শতকরা ২৫ ভাগের বেশি হতে পারবেনা বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ৫ শতাংশ আসন অসচ্ছ্বল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সরক্ষিত রাখতে হবে।
কলেজ কর্তৃপক্ষকে ‘চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮ সহ এ বিষয়ক প্রচলিত বিধি বিধান মেনে চলতে হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, এই আইন লঙ্ঘনকারীকে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সচিব জানান, মেডিকেল কলেজের নামে তিন কোটি এবং ডেন্টাল কলেজের নামে দুই কোটি টাকা যেকোনো তফশিলি ব্যাংকে সংরক্ষিত তহবিল হিসাবে জমা রাখতে হবে।