পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে রাশিয়া এক বছরে বাংলাদেশকে সাড়ে ৩ কোটি ডোজ টিকা পাঠাতে আগ্রহী। যার ৪০ লাখ ডোজ টিকা চলতি মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত ঢাকায় পৌঁছাবে।
সোমবার (৩ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে একটি অনলাইন পোর্টাল এ খবর জানিয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেনকে এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
টিকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া ও চুক্তি করতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এর আগে ২২ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক–ভি কিনতে একমত হয়েছে সরকার। পাশাপাশি ফর্মুলা গোপন রাখার শর্তে বাংলাদেশেও এই টিকা উৎপাদন হবে বলেও সম্মত হয় দুই দেশ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে তিন কোটি টিকা কিনতে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। সম্পূর্ণ অর্থ অগ্রীম পরিশোধ ও করা হয়। সে অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও দুই দফায় এসেছে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা। কিন্তু মে মাস পর্যন্ত দেড় কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও পায়নি বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষ থেকে উপহারের ৩৩ লাখসহ সবমিলিয়ে এক কোটি তিন লাখ ডোজ টিকা হাতে পেয়েছে সরকার। টিকা সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি।
গত বছরের ১১ আগস্ট রাশিয়া উদ্ভাবিত করোনার টিকা স্পুটনিক-৫ এর অনুমোদন দেয় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার গামেলিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ও রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের তৈরি স্পুটনিক-৫ নামের এই টিকাটি গত ৮ সেপ্টেম্বর সে দেশের নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। বিশ্বের ৬০টি দেশ এ পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজনে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে স্পুটনিক-৫ এর কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে গামেলিয়া।