স্থানীয় সময় সোমবার (৩ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত শান্তিরক্ষা মিশনসমূহের বাজেট সেশনে প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশগুলো যাতে তাদের শান্তিরক্ষী ও সাজ-সরঞ্জাম মোতায়েনের অর্থ যথাসময়ে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বর্তমানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বিশ্বের সাতটি মিশনে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছেন।
কোভিড-১৯ মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত ও নিবেদিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তাই এ বাজেট বরাদ্দকালে যাতে কোভিড-১৯ মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বাড়তি অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় সে বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপসমূহের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশের ‘নারী, শান্তি ও সুরক্ষা’ বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মূল কৌশলের একটি।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিশেষ করে এর উচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সব স্তরে নারীর পূর্ণ, কার্যকর এবং অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অবশ্যই আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ পরিষদের পঞ্চম কমিটির সভা প্রতিবছর মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়।