মঙ্গলবার (৪ মে) ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিশোরদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হওয়ার সঙ্গে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
গবেষণা প্রতিবেদনটির অন্যতম লেখক অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পিরিবিলস্কি বলেন, ‘গবেষণায় ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বেড়ে ওঠা কিশোর-কিশোরীরা অতিরিক্ত টিভি দেখা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত থাকার জন্য কোনো ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগেননি। তবে আমরা এ কথাও বলতে চাই না যে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। আমরা কেবল এতটুকুই বলছি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তির কারণে মানসিক সমস্যা না হওয়ার পেছনে আমাদের গবেষণায় শক্তিশালী তথ্য রয়েছে।’
প্রতিবেদনে টিভি দেখা ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অক্সফোর্ড যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ৪ লাখ ৩০ হাজার ছেলে-মেয়ের ওপর জরিপ চালায়। এ সময় তাদের হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়। সেখানে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কম।
তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্য এডুকেশন পলিসি ও দ্য প্রিন্সেস ট্রাস্টের এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া কমবয়সীদের জন্য বিপদজনক। এর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে শিশু-কিশোররা মানসিক অবসাদ ও হতাশাসহ আরও নানা মানসিক রোগে ভুগছে। সেই গবেষণার সূত্র ধরে অক্সফোর্ড জানায়, তথ্যটি সঠিক নয়। এছাড়া গত ১ এপ্রিল বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লকডাউনও একটি ফ্যাক্টর।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাজ্যের সরকার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে শিশু ও তরুণ বয়সীদের জন্য প্রায় ৮ কোটি ডলার ব্যয়ের কথা বলা হয়।
সূত্র: বিবিসি।