বুধবার (৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ‘টিকা সংকটের কারণে ইতোমধ্যে আমরা প্রথম ডোজ বন্ধ করে দিয়েছি। তারপরও আমাদের প্রায় ১৪ লাখের মতো টিকার ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থায় আপাতত টিকার নিবন্ধন আমরা স্থগিত করেছি।’
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘নতুন করে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া যখন শুরু হবে, সে সময় আবার নিবন্ধন চালু করা হবে। এর মধ্যে আমরা বাকি টিকাগুলো দিতে থাকব।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকার চালান চুক্তিমত আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। যে কারণে আপাতত যাদের নিবন্ধন করা আছে, তাদেরই টিকা দেওয়া শেষ করতে চাই আমরা।’
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। তখন থেকে গতকাল (৪ মে) পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৭ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩১ লাখ ৬ হাজার ৭০৯ জন। অর্থাৎ, দুই ডোজ মিলিয়ে মোট ৮৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৬ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। টিকার বর্তমান মজুদের সঙ্গে হিসাব মিলিয়ে দেখা গেছে, ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ ডোজের সংকট রয়েছে।