ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৮ টাকা ৩০ পয়সা।
শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেট্রো স্পিনিং চলমান হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২০ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার বিনিয়োগকারীদের চাহিদের শীর্ষে চলে আসায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৮৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানিটির লভ্যাংশের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২০ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ দিয়েছিল। তার আগে ২০১৯ সালেও ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। এছাড়াও ২০১৮ সালে ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৭ সালে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
মেট্রো স্পিনিংয়ের পর গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল জেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া জেড গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান জেনারেশন নেক্সটের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- মালেক স্পিনিংয়ের ৪০ দশমিক ১৪ শতাংশ, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৩৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনিংয়ের ৩০ দশমিক ১৬ শতাংশ, ন্যাশনাল ফিডের ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, এনআরবিসি ব্যাংকের ২৫ দশমিক ২১ শতাংশ এবং জাহিন স্পিনিংয়ের ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ দাম বেড়েছে।