গত ১৮ এপ্রিল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে অনেকটা চ্যালেঞ্জ করেই আসে সুপার লিগের ঘোষণা। প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ক্লাবে যোগ দেয় তাতে ১২টি ক্লাব।
তবে এর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সোচ্চার ছিল ফিফা ও উয়েফা। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাও আসে সম্পৃক্তদের বিষয়ে। সঙ্গে যোগ হয় ভক্তদের তীব্র নিন্দাও। যার ফলেই এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, ও টটেনহ্যাম, ইন্টার ও এসি মিলান, আর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
মিলান অবশ্য তখন আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি এ বিষয়ে। উয়েফার বিবৃতির মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়েছে বিষয়টি।
উয়েফা সম্প্রতি ক্লাব অঙ্গীকার ঘোষণা চুক্তিতে সই করিয়েছে এই নয় ক্লাবকে, উয়েফার বিবৃতিতে এ বিষয়টিই জানানো হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী দেড় কোটি ইউরো ইউরোপের শিশু, যুব ও তৃণমূল ফুটবলের জন্য দিতে হবে ক্লাবগুলোকে। আর তাদের ছেড়ে দিতে হবে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা থেকে প্রাপ্য রাজস্বের ৫ শতাংশ। এছাড়াও ভবিষ্যতে এমন কোনো প্রতিযোগিতায় নাম লেখালে ১০ ও অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে ৫ কোটি ইউরো জরিমানা দিতে হবে ক্লাবগুলোকে।
তবে উয়েফা সভাপতির কথাতে অবশিষ্ট তিন ক্লাবের শাস্তির মুখে পড়ার বিষয়টির আভাস পাওয়া গেছে। আলেক্সান্দার সেফেরিনের কথা, ‘তথাকথিত ‘সুপার লিগে’ এখনও যুক্ত থাকা ক্লাবগুলোর ব্যাপারে একই কথা বলা যাচ্ছে না। ওই ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে উয়েফা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নিবে।’ নির্ভরযোগ্য সূত্র ধরে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, দুই বা কমপক্ষে এক মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা অপেক্ষা করছে ক্লাবগুলোর জন্য। সেটা যদি আগামী মৌসুমেই হয়, তাহলে সম্ভাবনা আছে লিওনেল মেসি কিংবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসর হওয়ার!
তবে তিন ক্লাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ‘অধিকার’ উয়েফার আছে, দাবি করেছেন সেফেরিন। উয়েফা প্রধানের ভাষ্য, ‘প্রস্তাবিত ওই ‘সুপার লিগ’ থেকে সরে আসার আহ্বান প্রত্যাখান করা ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সবরকম অধিকার উয়েফার আছে।’