শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলছে পরীক্ষার জন্য কিট নেই, সুরক্ষার যন্ত্রপাতি নেই। কিন্তু আমরা এসব তৈরি রেখেছি। চীনকে এ বিষয়ে বলেছিলাম। তারা এরই মধ্যে ১০ হাজার টেস্টিং কিট ও ১০ হাজার প্রটেক্টিং ইকুইপমেন্ট তৈরি রেখেছে। যেকোন সময়ে ভাড়া করা উড়োজাহাজে এসব চলে আসবে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও আনার চেষ্টা করছে। প্রয়োজন হলে আমরা সেগুলোও আনার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাস মোটামুটি সংক্রমিত হয়েছে বিদেশফেরত লোকজনের মাধ্যমে। যে ২০ জন সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই বিদেশ থাকা আসা লোকজনের সান্নিধ্যে এসেছেন বলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে আমরা কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত এ ১০টি গন্তব্য থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ আসা রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এ সময়ে যুক্তরাজ্য, চীন, থাইল্যান্ড ও হংকং—এ চার রুট চালু রেখেছি। বিশেষ প্রয়োজন হলে লোকজন ওই রুটগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।’
এ সময় ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের কঠোর সিদ্ধান্ত, প্রবাস থেকে যেই–ই আসুক না কেন, তাকে অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। সেটা বাড়িতে হোক কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক। নির্ঘাত তাকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কেউ অমান্য করলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাবেন। স্থানীয় প্রশাসন বিহিত ব্যবস্থা নেবে। যারা বিদেশ থেকে ফিরবে, তাদের প্রত্যেকের হাতে একটি অমোচনীয় কালি দিয়ে দাগ দেওয়া হচ্ছে, যাতে সহজে চিহ্নিত করা যায়।