সোমবার (১০ মে) বাপেক্সের শ্রীকাইল ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ ও ফেঞ্চুগঞ্জ ৪ নং কূপের সফল ওয়ার্কওভারের পর জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বাপেক্সকে আন্তর্জাতিক মানে গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন/উৎপাদন কোম্পানিতে পরিণত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাপেক্সের আওতায় উৎপাদন সংক্রান্ত কার্যক্রম, খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম, রিগ সিডিউল, অনুসন্ধান (জিওফিজিক্যাল ও জিওলজিক্যাল) কার্যক্রম, বাপেক্স এর সাংগঠনিক কাঠামো আধুনিকায়ন/জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত, বাপেক্স কর্তৃক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার আওতায় গৃহীতব্য প্রকল্প ইত্যাদি সুনির্দিষ্ট করে পরিকল্পনা অনুযায়ী এর সক্ষমতা বাড়াতে সরকার কাজ করছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, রোববার থেকে বাপেক্সের শ্রীকাইল ইস্ট-১ অনুসন্ধান কূপ থেকে (শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের প্রসেস প্ল্যান্ট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার গ্যাস গেদারিং পাইপলাইন স্থাপন শেষে উক্ত কূপ হতে) দৈনিক কম-বেশি ১১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডলাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই কূপে সম্ভাব্য গ্যাস মজুদ ৭১ বিলিয়ন ঘনফুট।
গত ৪ মে থেকে বাপেক্সের ফেঞ্চুগঞ্জ ৪ নম্বর কূপের সফল ওয়ার্কওভার সম্পাদনের পর নতুন জোন থেকে দৈনিক কম-বেশি ১১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডলাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই জোনের সম্ভাব্য গ্যাস মজুত ৪৫ বিলিয়ন ঘনফুট।
বর্তমানে বাপেক্স প্রতিদিন ১২৫ থেকে ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছে বলেও জানায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।