সোমবার (১০ মে) গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। পাশাপাশি ঢাকায় খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, এখন ঢাকায় সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিদেশে নেয়ার জন্য আইনগত বা অন্য কোনো উপায় আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো জোর করে তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারব না। বিষয়টি সরকার একেবারে না করে দিয়েছে। সুতরাং আমরা চেষ্টা করব, দেশেই তাকে সর্বোচ্চ উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য। একইসঙ্গে অন্য কোনো অপশন আছে কিনা বা আইনগত অথবা অন্য কোনো উপায়, সেটাও আমরা দেখব।’
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য অপশনগুলো আমরা ভেবে দেখব এবং সেগুলো আমরা আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা মনে করছি সরকারের এখতিয়ারে থাকার পরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হয়নি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের সব মানুষই আশা করেছিল, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এই অবনতির কথা ভেবে সরকার মানবিক কারণে হলেও তাকে বাইরে যাওয়ার অনুমতিটা দেবে। দুঃখজনক হলো সরকার একটা ধারণা দিয়েছিল যে, আমরা মানবিক কারণে এটা দেখব। কিন্তু শেষমুহূর্তে তারা আইনের কথা বলে এটা নাকচ করে দিয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘এটা অত্যন্ত নোংরা একটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু আইনে পরিষ্কার বলা আছে, এটা সরকার দিতে পারে। যে কোনোভাবে দিতে পারে।’