তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্রেসার, টেম্পারেচার, অক্সিজেন এগুলো এখন কিছুটা নরমালের (স্বাভাবিকের) দিকে চলে এসেছে। তবে মূল বিষয় হচ্ছে তিনি এখনও বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। তার কিডনির সমস্যা আছে, হার্টের সমস্যা আছে। ডাক্তাররা এখনও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল (জটিল) হলেও তিনি অনেকটা ইমপ্রুভ (উন্নতি) করেছেন। এখন তিনি রুম এয়ারে (ঘরের বাতাসে) শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন। অর্থাৎ রুমের মধ্যে তার অক্সিজেন লাগছে না।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতাল টেকনোলজিক্যাল দিক থেকে সবচেয়ে উন্নত। তারপরও এনাফ (যথেষ্ট) নয়। তারা (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) নিজেরাই মনে করে যে, তাদের অনেক লিমিটেশনস (সীমাবদ্ধতা) আছে। সেই লিমিটেশনসগুলো দেখে খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে বাইরে নেওয়ার আবেদন করেছে।
গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত হয়ে মুক্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়া সরকারের দেওয়া শর্তাবলী ভঙ্গ করেননি বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, তিনি যখন বাসায় কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন একদিনের জন্য তাদের (সরকার) শর্ত ভঙ্গ করেননি। একদিনের জন্য ঘরের বাইরে যাননি, বাসার বাইরে যাননি। কোথাও কোনো বক্তব্য দেননি।