বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে রাশিয়া ও চীনের টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। উপহার হিসেবে ইতোমধ্যেই চীনের কাছ থেকে আমরা টিকা পেয়েছি। আমরা টিকা পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব টিকাকরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের কাছ থেকেও আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টিকা পাব। বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা এক কোটি টিকা কেনার ব্যবস্থা করছি। খুব শিগগিরই দেশে টিকা আসতে শুরু করবে। এ ছাড়াও দেশেই যাতে টিকা উৎপাদন করতে পারি সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। নিজেদের টিকা তৈরিতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আমরা দেশের সব নাগরিককে টিকার আওতায় নিয়ে আসব, ইনশাআল্লাহ।
এছাড়াও তিনি বলেন, মানুষের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়। কাজেই জনসমাগম এড়াতে না পারলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। এ কারণে কষ্ট হবে জেনেও আমরা বাধ্য হয়েছি মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করতে। দোকানপাট, শপিংমলসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখতে হচ্ছে। একই কারণে গণপরিবহন চলাচলের ওপরও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জনগণের সহযোগিতায় এবং আমাদের সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আমরা বিগত এক বছর করোনা মহামারিজনিত আর্থিক অভিঘাত খুব ভালোভাবেই সামাল দিতে পেরেছি।