সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সামরিক শাসনের সময় জারি করা অধ্যাদেশের মাধ্যমে চলছিল এসএসএফ। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় এটিকে নতুন করে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের বিষয়গুলোকেই আইনে রাখা হয়েছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সদস্য ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান। জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের আইনে যুক্ত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্য বলতে দুই মেয়ে ও তাদের সন্তান, সন্তানদের স্বামী ও স্ত্রী এবং তাদের সন্তানরা। সরকারের গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাএই আইনের অধীনে নিরাপত্তা পাবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিতে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ রয়েছে। এই আইনে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি থাকলেও এসএসএফের মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি নেই। কিন্তু ২০০৯ সালের আইনের অধীনে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের এসএসএফের মাধ্যমেই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।