এ সমাবেশ থেকে বলা হয়, সাংবাদিক রোজিনাকে নিপীড়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার কণ্ঠ চেপে ধরার প্রয়াসের নগ্ন বাস্তবতা উঠে এসেছে। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। রোজিনা ইসলামকে যারা হেনস্তা করেছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে ও তাদের বিচার করতে হবে। অনতিবিলম্বে রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
নাট্যকার ও সাংবাদিক তোফাজ্জল লিটনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার আবাসিক সম্পাদক, লেখক-সাংবাদিক ইব্রাহীম চৌধুরী। দেশের একজন সাংবাদিকের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে দেশে ও প্রবাসী জনসমাজের প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিবাদে নেমে আসার জন্য তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রবীণ সাংবাদিক সাপ্তাহিক পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক নাজমুল আহসান বলেছেন, ওয়াশিংটন পোস্টসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার ও হেনস্তা করা নিয়ে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে। এ নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে এবং রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও হয়রানি করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানান।