শুক্রবার ফিফার বার্ষিক সভায় এ প্রস্তাব তুলেছে সৌদি আরবীয় ফুটবল ফেডারেশন। এ প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
প্রস্তাবটি উত্থাপনের সময় সৌদি আরব ফুটবলের সভাপতি ইয়াসের আল মিসেহাল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে ফুটবল আরও কঠিন যুগ সন্ধিক্ষণের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। অনেক বিষয়ের মুখোমুখিই হয়েছে ফুটবল যা চলমান মহামারির কারণে আরও জোরদার হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘বৈশ্বিক এই খেলাটার গঠন পুনর্বিবেচনা ও ভবিষ্যতে এর জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত কী হতে পারে এ নিয়ে বিবেচনার সময় চলে এসেছে বলে মনে করি আমরা। বর্তমানে যে চার বছরের একটা চক্র চলছে, ফুটবলের দুটো প্রতিযোগিতা পরিচালনা ও বানিজ্যিক দিক থেকে সেটাই সর্বোত্তম কিনা, তা নিয়েও ভাবতে হবে।’
ইয়াসেরের এই প্রস্তাবের পক্ষে মিলেছে দারুণ সাড়া। উপস্থিত ১৮৮টি দেশের মধ্যে ১৬৬টি দেশের হ্যাঁ ভোট পড়েছে এর পক্ষে। বিপক্ষে গিয়েছে মাত্র ২২টি ভোট।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইনফান্তিনো বলেছেন যে বিষয়টিকে পর্যালোচনায় আনবে ফিফা। সেজন্যে বর্তমান আন্তর্জাতিক ম্যাচ ক্যালেন্ডারেও আসতে পারে পরিবর্তন। তিনি বলেন, ‘আমি কী ভাবছি, তা এখন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে না। পর্যালোচনার ফল কী দাঁড়ায় তা গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যালোচনায় আমাদেরকে যেতে হবে উন্মুক্ত মানসিকতা নিয়ে। আমরা জানি বিশ্বকাপের মর্যাদা কী। বিশ্বাস করুন, বিশ্বকাপ কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়েও আমাদের পরিষ্কার ধারণা আছে।’
বর্তমানে বিশ্বকাপের আগে হয় বাছাইপর্ব। দক্ষিণ আমেরিকা ও উত্তর আমেরিকা বাদে বাকি সব মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরও খেলতে হয় বাছাইপর্ব উতরে এসেই। তবে এ বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ফিফা সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ভক্ত-সমর্থকরা ইদানীং বলছেন, তারা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চান, অর্থহীন ম্যাচের সংখ্যা কমে যাক, এটাও চান। এসব বিষয় বিবেচনার পরেও কি বর্তমান চক্রটাকে ফুটবলের জন্য সঠিক পথ বলে মনে করছি আমরা?’
দুই বছরের বিশ্বকাপ বাড়তি আয়ের দুয়ার খুলে দেবে ফিফার সামনে। কিন্তু ফিফা সভাপতির কাছে মুখ্য খেলা সম্পর্কিত বিষয়গুলোই। তিনি বলেন, ‘আমরা এ নিয়ে আলোচনা করব, বিশ্লেষণ করব কিন্তু সব আলোচনাতেই আমরা খেলাটাকেই মুখ্য হিসেবে রাখব, বানিজ্যটাকে নয়।’