বিমান সূত্র জানায়, করোনাকালীন সময়ে যাত্রী সংকটের কারণে এই রুটটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। জুন মাসের শেষে এই সিদ্ধান্ত আবার যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, যুক্তরাজ্যের লন্ডন রুটে বিমানের ফ্লাইট যথারীতি চলবে। বিমান বর্তমানে লন্ডনে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট (বুধবার) পরিচালনা করছে।
বিমান জানায়, বাংলাদেশ ও স্ব স্ব দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতের কলকাতা, দিল্লি, ওমানের মাস্কাট, নেপালের কাঠমান্ডু এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, শারজাহ ও আবুধাবি রুটের ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও বিমানের সৌদি আরবের মদিনা, কুয়েত এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংককের ফ্লাইট আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারির প্রথম ঢেউ চলাকালীন সময় থেকে এই তিনটি রুট বন্ধ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর পরেও এসব রুটে কোনো ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়নি।
এর আগে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এরপর এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ওই বছরের ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত বছরের ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ দিয়ে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।
চলতি বছর সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে প্রবাসী শ্রমিকদের আসা-যাওয়া ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৭ এপ্রিল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর এবং ২৫ এপ্রিল থেকে কুয়েত ও বাহরাইনে বিশেষ ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে গত ১ মে থেকে ১৩টি দেশ বাদে অন্য দেশে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- নেপাল, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তিউনিসিয়া।