এক বিবৃতিতে ওমর আলঘাব্রা বলেন, গত ২২ এপ্রিল যাত্রীবাহী বিমানে নিষেধাজ্ঞা আনার পর থেকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সংক্রমণ কমার হার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কার্গো বিমানের ফ্লাইটের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কানাডার নাগরিকদের করোনা থেকে রক্ষা করবে চলমান এই নিষেধাজ্ঞা।
বাইরের কোনো দেশ থেকে যাতে করোনাভাইরাসের নতুন কোনো ধরন আসতে না পারে সেজন্য গত ২২ এপ্রিল থেকে ভারত ও পাকিস্তানের যাত্রীবাহী ফ্লাইট প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কানাডা সরকার। সে সময়ও ৩০ দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়। এবার ওই নিষেধাজ্ঞা আরও এক মাস বাড়ানো হলো।
গত এপ্রিলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় পরিবহনমন্ত্রী ওমর আলঘাব্রা বলেন, ভারত ও পাকিস্তান থেকে কানাডায় আসা ব্যক্তিদের মধ্যে অধিক সংখ্যক কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় ট্রান্সপোর্ট কানাডা দেশ দুটি থেকে সরাসরি যাত্রী বিমান চলাচল বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়েছে।
সে সময় তিনি বলেন, উভয় দেশ থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত যাত্রী বিমান নিষিদ্ধ থাকবে। তবে ভ্যাকসিন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে কার্গো ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে।
কানাডায় গত বছরের মার্চ মাসে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর থেকেই দেশটির সরকার নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে দেশটির নাগরিকদের স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেই ভারত ও পাকিস্তানের সাথে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। নাগরিকদের যাতে দ্রুত টিকা দেয়া যায় সেদিকেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের সরকার।
গত সপ্তাহ থেকে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ ২৫ শতাংশ কমেছে। এখন দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৫ হাজার বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-প্রধান কর্মকর্তা হোয়ার্দ নু।
করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কানাডায় করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে ২৫ হাজার ১১১ জন। অপরদিকে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি।