দূতাবাস প্রাঙ্গণ পাল্কি, কুঁচকির প্যাডাল, বাঁশ জাতীয় মাছ ধরার সরঞ্জাম, আল্পনা (সাদা ঐতিহ্যবাহী বাংলা পেইন্ট), রঙিন ফেস্টুন, ব্যানার দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে।
দূতাবাসের পরিবারের সদস্যরা ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’র কোরাস উপস্থাপন করে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানান। দূতাবাসের শিশু শিল্পীরা এ উপলক্ষে লোকজ, আধুনিক ও মরমি গানে রচিত বাংলাদেশ সংস্কৃতির মোজাইক চিত্রিত করে গান এবং নৃত্য পরিবেশন করে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। দূতাবসে ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব-উজ-জামান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপন ছয় শতাব্দী আগে শুরু হওয়ার পর থেকে বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠেছে।
তিনি আরও যোগ করেন, মোঘল সম্রাট আকবর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের ১৫৫৬ সালে বাংলা ক্যালেন্ডার চালু করেছিলেন তত্কালীন ‘সুবাহ বাংলা’ অঞ্চলে ভূমি কর আদায়ের সময়কে সহজ করার জন্য, যার বেশিরভাগ অংশ বর্তমান বাংলাদেশের অধীনে আসে। দিনটি এখন সরকারি ছুটি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পহেলা বৈশাখের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেস্কো এ দিবসকে একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেন। তিনি বাঙালির প্রতিটি দিনের জন্য মঙ্গল কামনা করে বলেন, নতুন বছরে সবাই শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করুক।
তিনি বলেন, বর্ণ, জাতি বা ধর্ম নির্বিশেষে এই উৎসব দেশের সমস্ত জনগণকে এক করে দেয়। এটি আনন্দ এবং সম্প্রীতির উৎসব। তিনি এই সম্মেলনে যোগদানের জন্য কূটনীতিক, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, দেশের সকল বর্ণ ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জনগণ প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল বাঙালি নববর্ষ পালন করে। এ বছর তারিখটি রমজানের মধ্যে পড়ায় দূতাবাস রোজার মাসের পরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।