ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু গিয়ে বাংলাদেশিদের নিয়ে সেদিনই আবার ঢাকায় ফিরে আসবে।
কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এই ফ্লাইটে শুধুমাত্র নেপালে আটকেপড়া ট্যুরিস্টরা (পর্যটক) ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে দূতাবাস।
দূতাবাস জানায়, আটকেপড়াদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে আগ্রহী তাদের পাসপোর্ট ও নেপালের মোবাইল ফোন নম্বর দূতাবাসের ইমেইলে পাঠাতে হবে (mission.kathmandu@mofa.gov.bd)। এগুলো বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে তাদের ভ্রমণ অনাপত্তিপত্রের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও যারা বাংলাদেশে ফিরতে চান তাদের সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোর একটিতে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। টিকেট ও হোটেলের খরচ বহন করতে হবে যাত্রীকেই।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট, হোটেল বুকিংয়ের কনফারমেশন কপি দিয়ে টিকেট কিনতে হবে। এছাড়াও কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের চেক-ইনের সময় যাত্রীর কাগজপত্রগুলো সূক্ষ্মভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলেই কেবল তাদের প্লেনে ওঠার জন্য বোর্ডিং পাস দেওয়া হবে।
দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলে গত ১০ মে থেকে ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত’ বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেবিচক।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নেপাল ছাড়াও ১২টি দেশকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে সেই দেশগুলোর যাত্রীদের বাংলাদেশে আসা ও যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
নেপাল ছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য ১২টি দেশ হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তিউনিসিয়া।