মঙ্গলবার (১ জুন) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
দেশগুলো হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বলিভিয়া, ব্রাজিল, ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, প্যারাগুয়ে, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও উরুগুয়ে।
সার্কুলারে নিষিদ্ধ ১১ দেশকে ‘গ্রুপ-এ’ ক্যাটাগরি উল্লেখ করে বেবিচক জানায়, দেশগুলো থেকে কোনো যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি বাংলাদেশ থেকে এসব দেশে কেউ যেতেও পারবে না। তবে দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভিজিটররা সেসব দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের বাংলাদেশে পা রাখার আগেই ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেল বুকিং করতে হবে।
এছাড়াও সার্কুলারে আরও ৮টি দেশকে ‘গ্রুপ-বি’ ক্যাটাগরি উল্লেখ করা হয়েছে। এই ক্যাটাগরির ৮টি দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের জন্য আরোপ করা হয়েছে কিছু বিধিনিষেধ। দেশগুলো হচ্ছে- বেলজিয়াম, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডেনমার্ক, গ্রিস, কুয়েত এবং ওমান।
বেবিচক জানায়, কুয়েত ও ওমান থেকে আসা প্রবাসীদের দেশে ফিরেই সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ৩দিন থাকতে হবে। তিনদিন পর তাদের করোনা টেস্ট করানো হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও তাদের ১১ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
গ্রুপ-বি’র বাকি ৬ দেশ থেকে আসলে যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেল বুকিং করে আসতে হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে যারা এই ৮টি দেশে যাবেন তাদের জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়নি বেবিচক।
‘গ্রুপ-এ’ এবং ‘গ্রুপ-বি’তে উল্লেখিত ১৯ দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশে আসতে ইচ্ছুক সবাইকে (১০ বছরের ঊর্ধ্বে) যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে দেশে ফিরতে হবে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে চলমান বিধিনিষেধের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক রুটের নিয়মিত ফ্লাইট ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেবিচক। তবে ১ মে থেকে ৩৮ দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল সীমিত রেখে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়।