বুধবার (২ জুন) ‘বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য ক্লাইমেট পার্টনারশিপ’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তব্যকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান অনুসারে ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে। ইতোমধ্যে ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেমের মধ্যে ২ কোটি গ্রামীণ জনগণকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ও কৌশল গৃহীত হয়েছে। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারে গবেষণার জন্য বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল এবং জ্বালানি দক্ষতা অর্জন ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানির ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে টেকসই ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সৌরশক্তি বা সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু জমির স্বল্পতার জন্য বড় আকারে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বল্প জমিতে বেশি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উন্নত দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করা যেতে পারে’ বলেন তিনি।
গত ১২ এপ্রিল ‘সেকেন্ড ভার্চুয়াল মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং অব দ্য কপ-২৬ এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল (কপ-২৬ ইটিসি)’ এবং গত ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ‘ফার্স্ট রাউন্ড অব এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল ডায়ালগস’ এর অংশগ্রহণ করার প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাজ্য বৈশ্বিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বাড়াতে অব্যাহত গবেষণা করছে। বায়ু বিদ্যুৎ, ওশান রিনিউবল এনার্জি, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, ইলেকট্রনিক ভেহিক্যাল ইত্যাদি আগামীর জ্বালানি মিশ্রণে ব্যাপক অবদান রাখবে।’
ভার্চুয়াল এই সভায় কপ-২৬ এর প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলম, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনিম সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা করেন।