বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল ১১টায় নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়ে এ দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, সাত কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের হলে থেকে পড়াশোনা করে। করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হলও বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই এখন বাসায় অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি এসব শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া হয় তবে ঢাকায় এসে মেস ভাড়া করে অথবা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকতে হবে। অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীর পক্ষেই এটি সম্ভব নয়। তাই সরাসরি পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলে অবশ্যই কলেজের হল খুলে দিতে হবে। না হলে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড বিপাকে পড়বে।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘হল না খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অমানবিক। কেননা অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী হলে থেকে সামান্য টিউশনি অথবা ছোটখাটো পার্টটাইম চাকরির করে নিজের পড়াশুনার খরচ নিজে বহন করে। এমন অবস্থায় করোনাকালীন এমনিতেই সবার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। তার মাঝেও যদি হলে থাকা বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় থেকে পরীক্ষা দিতে হয় তবে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তাই অবিলম্বে ক্যাম্পাস খুলে দিতে হবে।’