বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বাজেট উত্থাপন করেন।
বাজেটে মোট এডিপির মধ্যে সরকারি তহবিলের ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৮ হাজার ২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এডিপির এই আকার চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় ২০ হাজার ১৭৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং সংশোধিত এডিপির তুলনায় ২৭ হাজার ৬৮১ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেশি।
এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতে ২৩ হাজার ১৭৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ১৭ হাজার ৩০৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৪ হাজার ২৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ খাতে ৮ হাজার ৫২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা, কৃষি খাতে ৭ হাজার ৬৬৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৪ হাজার ৬৩৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ হাজার ৫৮৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার এই বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অধিবেশনকক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর সংসদের বেঠক শুরু হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন।
করোনার পরিস্থিতির মধ্যে এটি দ্বিতীয় বাজেট এবং আওয়ামী লীগের এই তৃতীয় মেয়াদের সরকারের ও অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের এটি তৃতীয় বাজেট। এটা দেশের ৫০তম এবং স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের ২২তম বাজেট।