জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন: ফখরুল

জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা করেনি, হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় রাজনীতির সুযোগ তৈরির মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন।

সোমবার (৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব এ সব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার জনগণের সরকার না। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারতো না। এ সরকার মিডিয়া, বিচারব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই ক্ষমতায় এসেছে।

এ সময় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন এ সরকারের আজ্ঞাবহ। এ কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এ কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা আর বিএনপির নেই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি হয়েছিল। এই সরকার যদি শাহেদ করিমকে গ্রেপ্তার করতে পারে তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেন বিচারের আওতায় আনলো না?

বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। জনগণকে টিকা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো স্বদিচ্ছাই নেই। তারা ক্ষমতায় বসে আছে শুধু দুর্নীতি করে কানাডায় বাড়ি করতে।

বর্তমান সরকারকে হঠাতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে তরুণরাই। কারণ তরুণরা চাইলে যে কোনো বাধা অতিক্রম করতে পারে।

জিয়াউর রহমানের অবদান স্মরণ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যখন কেউ সাহস করেনি তখন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এ জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ পাইয়ে দিয়েছিলেন। আবার ৭৫-এ দেশ যখন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনায় ডুবে গিয়েছিল তখন আবার ত্রাণ কর্তার ভূমিকায় ক্ষমতায় এসেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এ সরকার এসব সত্যকে নতুন প্রজন্মকে জানতে দিতে চায় না, এজন্য তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করতে চায়।

এসব বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজ মৃত্যুশয্যায়। অথচ এই ফ্যাসিস্ট সরকার তাঁর চিকিৎসার জন্য কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। অবিলম্বে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। বেগম জিয়ার কিছু হলে এর দায় এই সরকারকেই নিতে হবে।

ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুণ আল রশিদ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বর্তমান স্বাস্থ্য খাতের দুরাবস্থা কাটাতে সরকার স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বাড়াবে। কিন্তু সরকারের এ দিকে কোনো নজর নেই। সব নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারলে ঢাকার পরিস্থিতি দিল্লির চেয়েও খারাপ হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ডা. মাজারুল ইসলাম দোলন, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. আবু হেনা ও ডা. আবুল হাসান।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নির্বাচনী প্রচারে টেলিগ্রাম চ্যানেল খুললো আ. লীগ
নির্বাচন থেকে সরে গেলেন জাপার তিন প্রার্থী
নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ: কাদের
মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
আ.লীগের আমলে বেড়েছে মাথাপিছু আয়
পল্টনের খাদে পড়ে গেছে বিএনপির এক দফা: কাদের
বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই: শেখ হাসিনা
ঢাকায় নির্বাচনী জনসভার অনুমতি পেল আ.লীগ
বছরে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে আ.লীগ: কাদের
বিকেলে ৬ জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা