দিনে ১০০টি পর্যন্ত চুল উঠলে সেটিকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু যদি চুল ওঠার পরিমাণ এরও বেশি হয়, তবে তা হতে পারে সমস্যার কারণ। এমনটি হলে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নিতে হবে কিছু সাধারণ পদক্ষেপ।
কিছু উপায় আছে, যা চুল পড়া কমাতে পারে অনেকটাই—
১. কন্ডিশনার: একটি ভালো মানের কন্ডিশনার চুলের গোড়া শক্ত করতে আশ্চর্যভাবে কাজ করতে পারে। এতে দেওয়া থাকে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে মেরামত করে চুলকে মসৃণ রাখতে অনেক ভালো কাজ করে।
২. শ্যাম্পু: চুল কোন শ্যাম্পুকে মানিয়ে নিচ্ছে এবং কোন শ্যাম্পুটি চুলের জন্য ভালো কাজ করছে, তা বুঝতে পারা হচ্ছে একজন চুলপ্রেমী মানুষের প্রধান কাজ। সব রকম শ্যাম্পুকে সবার মাথার ত্বক মানিয়ে নিতে পারে না। তাই ব্যবহার করার মাধ্যমে কোনটি মাথার ত্বক মানিয়ে নিচ্ছে সেটি বুঝতে হবে। এ ছাড়া এটিও লক্ষ রাখতে হবে যে, শ্যাম্পুতে যেন সালফেট, প্যারাবেন এবং সিলিকনের মতো পদার্থগুলো বেশি না উপস্থিত থাকে। এগুলো চুল ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে কাজ করে।
৩. ব্যায়াম ও ডায়েট: চুলের জন্য কি কি ভালো পণ্য মাথায় ব্যবহার করা হচ্ছে, তার থেকে বেশি প্রয়োজনীয় হচ্ছে— ডায়েট ফলো করা ও ব্যায়াম করা। কিছু ব্যায়াম করা ও প্রতিদিনের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আয়রন অন্তর্ভুক্ত করলে চুল পড়া কমানো সম্ভব।
৪. রাসায়নিকের ব্যবহার কমানো: চুলে যতটা সম্ভব কম পরিমাণে রাসায়নিকের ব্যবহার করতে হবে। স্ট্রেইটেনিং, পারমিং, কালারিংয়ের মতো কাজগুলো করলে চুলে অনেক পরিমাণে রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। আর এগুলো চুলের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এ ছাড়া ড্রায়ার ও কার্লিং রড ব্যবহারও চুলের অনেক ক্ষতি করে থাকে। চুলের যত্নে এগুলোর ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে, এগুলো বরং আরও ক্ষতিকারক।
৫. নিয়মিত ছাটাই: চুলের নিচের অংশে ভেঙে যাওয়া আগা থাকলে তা চুলের বৃদ্ধির পথে বাধার সৃষ্টি করে। তাই প্রতি ছয় থেকে আট সপ্তাহে একবার করে চুলের আগা ছাঁটাই করা প্রয়োজন। এতে চুল বাড়তে পারে ও চুল পড়াও কমে।
৬. তেল দেওয়া: নিয়মিত মাথায় তেল দিলে তা রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি করে এবং চুলের শেকড়কে পুষ্ট করে। মাথার ত্বকের সঙ্গে খাপ খায় এমন তেল দিয়ে অন্তত সপ্তাহে একবার চুলের গোড়া ম্যাসেজ করতে হবে। আর তেল দেওয়ার পর অন্তত দুই ঘণ্টা সেটি মাথায় রেখে তার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।