সোমবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা আছে কি-না—জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন, এখন থেকে সবাইকে বলে দাও- লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সবাইকে অথরিটি দিয়ে দেয়া হয়েছে, অলরেডি আমরা চিঠিতে বলে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আবার রিমাইন্ড (স্মরণ) করে দিতে বলেছেন। কোনো রকম রিস্ক (ঝুঁকি) না নিতে। যেখানে যারা কমফোর্টেবল মনে করবেন, তারা যেন সেখানে ব্লক (লকডাউন) করে দিয়ে করোনা থামানোর চেষ্টা করে।’
‘অলরেডি আমরা লোকাল অ্যাডমিস্ট্রেশন ও স্থানীয় জনপ্রতিধিদের বলে দিয়েছি। তারা স্থানীয়ভাবে বসে যদি মনে করেন কোথাও সংক্রমণ বেশি হচ্ছে, এনফোর্স করা, ট্রিটমেন্ট বেশি দেয়া বা লকডাউন, যেটা তারা কমফোর্ট ফিল করবেন, সেভাবে করবেন। কারণ পুরো দেশে এখন আর একইভাবে করোনা ছড়াচ্ছে না। নর্থবেঙ্গল, দিনাজপুরে বাড়ছে। যশোরের দিকে কমে আসছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমে আসছে। স্থানীয়ভাবে লকডাউন করে দিতে পারবে।’
কেন্দ্রীয় লকডাউন আরও বাড়ানো হবে কি-না—প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।’
লকডাউনে সরকারি সব অফিস খোলা রাখার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা (লোকবল) ভাগ করে নিয়েছি। আমাদের অর্ধেকের বেশি অফিসে আসেন না।’