তিনি বলেন, চিকিৎসকরা মনে করছেন, তার কিডনি প্রপারলি (সঠিকভাবে) কাজ করছে না। তার লিভারও সেইভাবে কাজ করছে না। যে কারণে জ্বর চলে গেলেও আবার আসছে। গতকাল জ্বর এসেছিল।
সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে উপস্থিত সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডামের হার্টের সমস্যা আছে, সেটা না এগোলে লাঞ্চে যে মাঝে মাঝে পানি এসে যায় তা বন্ধ হবে না। ডাক্তাররা চেষ্টা করছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা বারবার করে যে কথা বলেছেন, এখনও বলছেন তা হলো, আমাদের দেশে অনেকগুলো রোগের চিকিৎসা এক জায়গা হয়, এমন সুযোগ কম। পরীক্ষা-নীরিক্ষা, টেকনোলজি কম। সেই কারণে তারা বারবার করে বলছেন, তাকে (খালেদা জিয়া) অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।
করোনাভাইরাসের পরীক্ষার রিপোর্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিন তারিখ নিয়ে আদালতে রিট করেন যুবলীগের এক নেতা। তার রুলের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৩ জুন) আদালত খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত কাজপ-পত্র চেয়ে রুল জারি হওয়ায় প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনীতি না থাকলে যা হয় আরকি। রাজনীতি তো নেই। এখন এ ধরনের ইস্যুগুলো তুলে ধরে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মূল সমস্যাগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা।
তিনি আরও বলেন, এটা তো ফেইক। এভার কেয়ার যে রিপোর্টের কথা বলা হয়েছে, আমি খোঁজ নিয়েছি এই ধরনের কোনো রিপোর্টই তারা করেনি। সেখানে একটা মিথ্যা তারিখ দেওয়া হয়েছে। তারা যে কাগজটা আদলতে দিয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে আদালত একটা হুকুম দিয়েছে। আমি আইনজীবী নয়, তারপর জানি না কীভাবে যথাযথভাবে না দেখে আদালত এ হুকুম দিলো? সামগ্রিকভাবে দেশে যে একদলীয় শাসন চলছে, তার প্রমাণ এখানে জুডিশিয়ারি স্বাধীন নয়। এটাকে আমলে নেওয়াই উচিত ছিল না।