সোমবার (১৪ জুন) ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের’ জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তা আমরা কমিয়ে আনতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা ইয়ানমার, টাটাসহ অনেক কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের অনুরোধ করেছি যাতে তারা বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির কারখানা স্থাপন করে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে দক্ষ জনবল তৈরিতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলীর ২৮৪টি পদ সৃজন করা হয়েছে।
‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে অঞ্চলভেদে ৫০% থেকে ৭০% ভর্তুকিতে কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটি সারা বিশ্বের একটি বিরল ঘটনা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিতে নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। এর মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে সময় ও শ্রম খরচ কমবে। কৃষক লাভবান হবেন। বাংলাদেশের কৃষিও শিল্পোন্নত দেশের কৃষির মতো উন্নত ও আধুনিক হবে।
কৃষিযন্ত্রের প্রাপ্তি, ক্রয়, ব্যবহার ও মেরামত সহজতর করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যন্ত্র সরবরাহকারীদের যন্ত্রের মেইনটেন্যান্সে সহায়তা ও বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে হবে। এছাড়া, কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নিজেরাই যন্ত্র চালনা ও মেরামত করতে পারেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। একইসঙ্গে ফসলের নিবিড়তা বাড়বে ও চাষ ত্বরান্বিত হবে। সময় বাঁচার ফলে আলাদা একটা ফসল করা যাবে। এর ফলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, ব্রির মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।