এক গবেষণায় দেখা গেছে, সবজি যদি সিদ্ধ করা হয় তবে আরও বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। এই গবেষণায় বলা হয়, কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো সিদ্ধ করা হলে ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ বেশি ধরে রাখে। এই সবজিগুলো সিদ্ধ করে খেলে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
যে কারণে সিদ্ধ খাবার সবচেয়ে ভালো
খাবার-দাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা সহজে হজম হতে পারে না। তবে যখন খাবারটি সঠিকভাবে সিদ্ধ করা হয় তখন এই উপাদানগুলি শরীরে যায় এবং সহজে হজম হয়। এছাড়াও সিদ্ধ খাবার ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে, ত্বকের গঠন উন্নত করে, অ্যাসিডিটি কমায়, কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
যেসব খাবার সিদ্ধ করে খেলে বেশি স্বাস্থ্যকর হয়-
ভুট্টা : সারা দিন শরীরে অনেক পুষ্টি দরকার। ভুট্টাতে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়। এর ভিতরে থাকা ভিটামিন বি স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী। এ ছাড়া এতে কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় এমন অনেক খনিজ উপাদান পাওয়া যায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে নানা রোগ থেকে দূরে রাখে।
ব্রকলি : ব্রকরি সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। এতে কেবল ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন এবং পটাসিয়ামই থাকে না, এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনও পাওয়া যায়। শরীরের পুষ্টির জন্য সিদ্ধ করে স্যুপ হিসেবে ব্রকলি খেতে পারেন।
আলু : আলু যখন সিদ্ধ করা হয়, তখন ক্যালরি কমে যায়। যারা ওজন কমাতে চান, তারা এটি খেতে পারেন।
চিংড়ি : চিংড়ি অন্যতম সেরা সামুদ্রিক খাবার হিসেবে পরিচিত। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরকে নানা রোগ থেকে দূরে রাখে। এটি সিদ্ধ করে সালাদ বা স্যুপ দিয়ে খেতে পারেন।
ডিম : সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশে পাওয়া প্রোটিন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
মটরশুঁটি : বিশেষজ্ঞরা বলেন, মটরশুঁটি কমপক্ষে ছয় মিনিট সিদ্ধ করা প্রয়োজন। সামান্য পরিমাণ লবণ ও মরিচ মিশিয়ে এটা সিদ্ধ করতে পারেন। এটা ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য ভালো।
পুঁইশাক : গবেষণায় দেখা গেছে, মেথি ও পুঁইশাক সিদ্ধ করলে বেশি স্বাস্থ্যকর উপাদান পাওয়া যায়।
ফুলকপি : ফুলকপি সিদ্ধ করে খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। এই পদ্ধতিতে ফুলকপিতে পুষ্টি ও ভিটামিন জমা থাকে।
বাঁধাকপি : বাঁধাকপি সিদ্ধ করলে এর ভাপের একটি গন্ধ হয়। এই সিদ্ধ পানি খাবারের সুগন্ধ করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
গাজর : গাজর সিদ্ধ করার সময় সামান্য পরিমাণ লবণ ও মরিচ ছিটিয়ে দিন। সিদ্ধ গাজর চোখের জন্য ভালো।