বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিইসি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ এতে সভাপতিত্ব করেন।
সিইসি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচন নির্বাচনের মতো হবে। নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট করা। এখনো কারা প্রার্থী দেবে, কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে, এখানে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই।’
ইভিএমে ভোটগ্রহণ ত্রুুটিমুক্ত হয় জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সুন্দর হয়। সেখানে জাল ভোটের সুযোগ থাকে না। এখন পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক ইভিএমে ত্রুুটি ধরতে পারেনি। ইভিএমে ভোটগ্রহণ সবচেয়ে নিরাপদ।’
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা কোনো অংশে কম নয়। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
২১ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে দিকনির্দেশনামূলক সভা করেন সিইসি। পরে বিকালে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক একটি সভায় অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের উপপরিচালক আইডিইএ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহম্মেদ, পুলিশ সুপার ড.এইেচএম কামরুজ্জামান, কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।