তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে গতকাল (বুধবার) পাঠানো হয়েছে। পাঁচটি পর্যবেক্ষক সংস্থা থেকে মোট ৫৫ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২১ জুন প্রথম ধাপে দেশের বিভিন্ন জেলায় ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন প্রণীত স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০১৭ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এসব নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত পাঁচটি পর্যবেক্ষক সংস্থা থেকে ৫১ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে কোনো পর্যবেক্ষক কার্ড ইস্যু করা হবে না। অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সংগ্রহ করতে হবে।
রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০১৭ অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করবেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য ইও-২ ফরম, ইও-৩ ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজের রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে।
রিটার্নিং অফিসার এসব তথ্য ‘পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০১৭’ অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে সংস্থাভিত্তিক কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদের নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র দেবেন। কোনো পর্যবেক্ষক যদি কোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনী এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোনো কার্ড ইস্যু করা যাবে না।
পর্যবেক্ষকরা অনধিক পাঁচ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদের নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না।