রোববার (২০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, মাদক বিস্তারের পরিণাম ‘জঙ্গিবাদের মতই ভয়াবহ’।
“মাদকের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে বিশেষায়িত ইউনিট গঠন করতে হবে।”
সংসদের বিরোধী দলীয় এই উপনেতা বলেন, “গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক সংবাদে ইতোমধ্যে দেশবাসী জেনেছে, এলএসডি, আইস, খাটের মত মরণনেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে আমাদের তরুণ সমাজ।
“এছাড়া ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ ও গাঁজা আরও সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। জাতির জন্য এর মত দুঃসংবাদ আর হতে পারে না। মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে না পারলে জাতি হয়ে পড়বে অকর্মন্য, উগ্র এবং অসভ্য।”
মাদকের করাল গ্রাসে পড়লে তারুণ্যের অমিত সম্ভাবনা ধ্বংস হয়ে যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তখন কোনোভাবেই দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।”
সরকার যেভাবে মাদকের বিস্তার রোধ করার চেষ্টা করেছে, তার সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানে গেল তিন বছরে বিচার বহির্ভূত হত্যা হয়েছে কয়েকশ, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।”
বিবৃতিতে মাদক নির্মূলে সরকারকে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।